বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। খাবারের লক্ষ্যে আমরা উৎপাদন করে থাকি বিভিন্ন ধরণের খাদ্য।
খাদ্য অপচয় করে থাকি বিভিন্ন ধাপে।খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আহার পর্যন্ত খাদ্য অপচয় হতে থাকে।
খাবার নষ্ট করা এখন আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে । এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য অপচয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিমাসে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ২৬ কেজি। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে দেখা দিতে যাচ্ছে বিশাল খাদ্য সংকট।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অপচয় রোধের বিকল্প নেই।
পৃথিবীতে যখন লক্ষ-লক্ষ মানুষ না খেয়ে ঘুমোতে যায় তখন আমরা খাবার অপচয় করছি।
যতটুকু খাবার খেতে পারব তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খাবার প্লেটে নিই।অর্ধেক খাবার খেয়ে অর্ধেক ফেলে দিচ্ছি ডাস্টবিনে।
আমরা নিজেরা নিজেদের খাদ্য সংকট ডেকে নিয়ে আসছি নিয়মিত। খাদ্য সংকট নিরসনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
খাদ্য উৎপাদনের পর থেকে যে খাদ্য নষ্ট হচ্ছে সেগুলোও আমাদের রোধ করতে হবে। বিশেষ নজর দিলে দেখা যায় খাদ্য পরিবহন করার সময় বেশ কিছু খাদ্য নষ্ট হয়।পরিবহনের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হলে তা রোধ করা সম্ভব।
অনেক খাবার পঁচনশীল। সঠিকভাবে স্টোরেজ করতে না পারার কারণেও বহু খাবার প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপযুক্ত স্টোরেজের মাধ্যমে খাদ্য নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব।
বিশেষ করে যারা ধনাঢ্য পরিবার তারা বেশি করে খাবার ক্রয় করে কিন্তু পুরো খাবার খায় না।ফলে প্রচুর খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিবেকবান মানুষগুলো যদি বিবেকহীন হয়ে পড়ে তাহলে খাদ্য অপচয় রোধ করবে কে?
সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের চারপাশে পতিত জমিতে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে।
খাদ্য দ্রব্য নষ্ট করা থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে।খাদ্য শস্য উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ফসলের উন্নত ফলনশীল জাতের বীজের ব্যবহার করতে হবে।
ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে খাদ্য অপচয় রোধে কাজ করতে হবে।প্রতিদিন নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার রান্না করা থেকে বিরত থাকতে হবে।অতিরিক্ত খাবার ফেলে না দিয়ে অসহায় গরীবদেরকে দান করে দিতে হবে। পঁচনশীল খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বেশিদিন স্টোরেজ করে খাবার পঁচানো যাবে না। এখনই সময় খাদ্য অপচয় রোধ করার।
একজন যদি প্রতিদিন খাদ্য অপচয় বন্ধ করে দেয় তাহলে মাসে ২৬ কেজি খাবার অপচয় রোধ হয়ে যাবে।
চলুন খাদ্য সংকট আসার আগেই খাদ্য অপচয় রোধ করি।
আরমান জিহাদ
সাবেক শিক্ষার্থী : হোসেনপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ
ইমেইল :, rxarman1997@gmail.com
বর্তমান ঠিকানা: দোহা,কাতার