২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১০:৫২

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা জরুরি

আরমান জিহাদ
  • আপডেট মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৬, ২০২১,
  • 325 বার

 

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। মানুষ এই গতির সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে আবিষ্কার করছে নতুন নতুন ব্যবহারিক জিনিসপত্র।
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সকলক্ষেত্রে। সেই ছোঁয়া থেকে বাদ যায়নি যানবাহনও।

সময়ের সাথে পাল্লা দিতে মানুষ আবিষ্কার করেছে দ্রুততম যান।
সময়ের মূল্য অনেক বেশি,তারচেয়ে বেশি জীবনের মূল্য।
একসময় আমাদের যানবাহন হিসেবে বাই সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, বেবিট্যাক্সিসহ বাস ও ট্রেন ছিলো চলাচলের প্রধান বাহন।
সময় বদলেছে সময়ের মূল্যায়নে আবিষ্কৃত হয়েছে দ্রুতগতির যান।
তারমধ্যে মোটরসাইকেল অন্যতম।

আমাদের নিত্যদিনের কর্ম পরিচালনা সম্পন্ন করতে আমাদের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে হয়।চলাচলকে সহজ করতে ব্যবহার হয় বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। অন্যান্য যানবাহনে সময় বেশি লাগার কারণে বেশিরভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ মোটরসাইকেল। বিশেষ করে বাংলাদেশের বেশিরভাগ কিশোর ও যুবকরা মোটরসাইকেলের প্রতি বেশি আসক্ত।

দ্রুততম এই বাহনে যাতায়াত করা যেমন আরামদায়ক তেমনই সময় কম লাগে।ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি। কিছুদিন পূর্বের প্রথম আলোর এক রিপোর্টে দেখানো হয় এদেশের দূর্ঘটনার প্রায় ৩৫% দূর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেলে।
কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করা,প্রতিযোগতামূলক ড্রাইভিং,বারবার লেন পরিবর্তন করা, গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা ইত্যাদি।

মোটারসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কাজগুলো মান্য না করার কারণে আমাদের দেশে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত।
এসব দূর্ঘটনা থেকে আমাদেরকে মুক্তি পেতে হলে
ট্রাফিক আইন মান্য করা,গাড়ি ড্রাইভিং করার সময় হেলমেট পরিধান করা,মোবাইল ব্যবহার না করা,গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা,প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা, সামনে পেছনে নজর রাখা এবং সাবধানতার সহিত মোটরসাইকেল ড্রাইভ করা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিশোর, যুবক ছেলেদের ক্ষেত্রে দূর্ঘটনাগুলো খুব বেশি ঘটে থাকে।
“একটি দূর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না ”
বাক্যটি জানা থাকলেও কার্যত কেউ মানার চেষ্টা করে না।প্রথমে এটাকে নীতিবাক্য বলেই অবজ্ঞা করে কিন্তু পরবর্তীতে দূর্ঘটনার শিকার হলে সে বাণী অন্যকে শোনায়।
সকলের উচিত নিজেকে নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার জন্য আরামদায়ক ড্রাইভিং করা।পিতামাতার উচিত নিজের সন্তানদের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বোঝানো।
ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।সড়কের দূর্ঘটনা আকস্মিক হয়ে যায়।হয়তো হঠাৎ মৃত্যু না হয় সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হয়।
সবকিছু শেষ হওয়ার পূর্বে অবশ্যই নিজেকে সতর্ক হতে হবে।
সময়ের মূল্যায়নের সাথে সাথে জীবনেরও মূল্যায়ন করতে হবে।যাত্রা শুরুর পূর্বে ভালোভাবে মোটরসাইকেল চেক করে বের হওয়াটাও জরুরি।
যাত্রা হোক সুখের ও বিপদমুক্ত।

এই পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও লেখা
Design & Developed by PAPRHI
Theme Dwonload From Ashraftech.Com
ThemesBazar-Jowfhowo