জীবনের স্বাদ নিতে গেলে প্রয়োজন একজন জীবন সঙ্গিনী।মানুষ বিয়ে করার মাধ্যমে তার জীবনের পূর্ণতা লাভ করে। বিয়ে করলেই যে পূর্ণতা পাবে তেমনটাও নয়। পরস্পরের প্রতি যদি ভালোবাসা এবং যত্ম না থাকে তাহলে সহজেই এই সুন্দর সম্পর্কের ইতি ঘটতে পারে।
সংসার জীবনে অনেকেই সুখি হতে পারেন না।অনেকের একাধিক সন্তান থাকলেও যেন সংসারের সুখ পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়।
“সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে” সবাই জানেন।সেই রমণীই যদি খুশি না থাকলে আপনার উপর তাহলে আপনার ঘোর বিপদ যেন কাটবেই না।সারাদিন রাত ঝগড়া বিবাদে জড়িয়েই থাকবে আপনার স্ত্রী। ঝগড়া করার কারণ অনেক রয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে বিশ্লেষণ করতে গেলে লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে।
স্ত্রীকে খুশি রাখতে যে বিষয়গুলোর দিকে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।
১.স্ত্রীকে সর্বোচ্চ যৌনতৃপ্তি দেওয়ার চেষ্টা করা:
প্রতিটি মেয়ে তার স্বামীর কাছে পরিতৃপ্ত যৌন চাহিদা মেটানোর আশা রাখে।
ক্লান্ত দেহ হোক,দিন আর রাত হোক, যখন সে যৌন মিলনে সম্মতি বা আগ্রহ প্রকাশ করে তখন তার সঙ্গ দেওয়া।স্ত্রী যদি সেই সাপোর্ট তার স্বামীর কাছে পায় তাহলে সে তার স্বামীকে খুব ভালোবাসবে।
২.রূপের প্রশংসা করা:
আপনার স্ত্রীর রূপের প্রশংসা করুন সবসময়। সে কালো হতে পারে কিংবা শ্যামলা অথবা সুন্দর হতে পারে। আপনি তার রূপের প্রশংসা করতে ভুলবেন না।যখনই আপনার নজরে আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলতে পারেন, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।ছোট ছোট এই কথাগুলো আপনার শান্তি বয়ে নিয়ে আসবে।ঝগড়া কমে যাবে। সংসার সুখের হবে।
৩.স্ত্রীর কথাকে মূল্যায়ন করুন :
আমাদের সমাজ কিছুটা পুরুষতান্ত্রিক সেটা অস্বীকার করার শক্তি নেই।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের মূল্যায়ন একটি কমই থাকে।বিশেষ করে বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে।
যখন কোন কাজ করতে যাবেন তখন স্ত্রীর কাছে তার মূল্যায়ন জানতে চাইবেন।যদি ভালো হয় সেটা গ্রহন করবেন আর না হয় প্রত্যাখ্যান করবেন।আপনার এই একটু জিজ্ঞেস করার কারণে আপনার প্রতি তার মূল্যায়ন বৃদ্ধি পাবে।মেয়েদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করলে তারা খুবই খুশি হয়।
৪.মাঝে মাঝে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হোন:
পৃথিবীর সৌন্দর্য সবাই উপভোগ করতে চায়।সে হোক নারী কিংবা পুরুষ। সারাক্ষণ ঘরে থাকা স্ত্রী ও হয়ত ঘুরতে যেতে চায়। কিন্তু সময় সুযোগ মিলে না।
আপনি যেকোন সময় তাকে নিয়ে বাহিরে কোথাও ঘুরতে বের হতে পারেন।
প্রাকৃতিক পরিবেশে দুজন দুজনের সাথে সময় কাটাতে পারেন।হাতে হাত রেখে ঘুরলে সে যেমন ভরসা পাবে তেমনিভাবে অনেক খুশিও হবে।
সে মনে মনে ভাবতে থাকবে আপনিই পৃথিবীর সেরা স্বামীদের একজন।
৫. কোন মেয়ে বন্ধুর কথা তার সামনে বলবেন না:
আমাদের অফিস,অফিসের বাইরে, হাটে, বাজারে অসংখ্য মেয়ে মানুষ। এরমধ্যে আমাদের অনেক বন্ধু রয়েছে যারা মেয়ে মানুষ।
মেয়ে বন্ধু থাকাটা কোন সমস্যা নয় কিন্তু বিয়ের পর যত ত্যাগ করা যায় ততোটাই ভালো।
আপনি যদি কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে সেটা আপনার স্ত্রী কখনোই মেনে নিবে না।
আপনার বেলায় কি আপনি মেনে নিবেন?
আপনিও হয়ত মেয়ে নিতে পারবেন না।
৬.তার সামনে অন্য মেয়ে সম্পর্কে বা তাদের রূপ সম্পর্কে কথা বলবেন না:
নারী মানেই জন্মগত নিজেই সেরা।এই সেরা হওয়াটার পেছনে অবশ্য কারণ রয়েছে আর সেটা হলো তাদের পরিবার।একটি মেয়ে যেমনই হোক সে তার মা বাবার কাছে পরীর মতো।ভাইয়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয়।তারা সবসময়ই তাকে আদর করতে করতে এবং প্রশংসা করতে করতে তেমনটা করে থাকে।
তাই যেকোন মেয়ের সামনে অন্য কোন মেয়ের সম্পর্কে বললে বা রূপের প্রশংসা করলে সেটা তারা মেনে নিতে পারে না বা পারবে না।তাই ভুল করেও আপনার স্ত্রীর সামনে অন্য মেয়ের কথা মুখে যেন না আসে।
উপরোল্লিখিত ছয়টি বিষয় যদি ঠিকমতো মেনে চলা যায় তাহলে সংসার অবশ্যই সুখের হবে।ঝগড়া কম হবে।ভালোবাসার চাষাবাদ হবে।সুন্দরভাবে পথ চলতে সাহায্য করবে দুজনকেই।